আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৯) দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর জলবায়ু ও পরিবেশ সাংবাদিকদের সংগঠন ‘সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম’ (সাকজেএফ) এর নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে।
যারা যতটুকু অর্থসহায়তার আশ্বাস দেয়, তারাই সে কথা পরে রাখে না। সম্মেলন শেষে চলেছে এ নিয়ে দরকষাকষি এবং কোন খাতে কতটুকু অর্থ ব্যয় করতে হবে তার আলোচনা। প্রতিটি দেশেরই এ বিষয়ে একটি সুনির্দিষ্টি পরিকল্পনা রয়েছে বা থাকে।
জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলন কপ২৮-এ জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার থেকে সরে আসার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে প্রায় ২০০টি দেশ। জলবায়ুর ওপর জীবাশ্ম জ্বালানির বিরূপ প্রভাব এড়ানোর জন্য প্রথমবারের মতো জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে ক্রমে সরে আসার চুক্তিতে সম্মত হয়েছে দেশগুলো।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে টানা ১৩ দিন ধরে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৮ গতকাল মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে। তবে বহুল আলোচিত এই সম্মেলনে পরিবেশ বা জলবায়ু নিয়ে কোনো চুক্তি ছাড়াই এই সম্মেলন শেষ হয়ে গেছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সম্মেলন শেষ হওয়ার কথা ছিল
জাতিসংঘের জলবায়ু সম্পর্কিত শীর্ষ বৈঠকে জীবাশ্ম জ্বালানি বিষয়ক যে কোনো চুক্তির বিরোধিতা করতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জ্বালানি রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক৷
সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাইয়ে চলমান জলবায়ু সম্মেলনে (কপ২৮) অংশ নেওয়া দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানির উৎপাদন পর্যায়ক্রমে আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধের বিষয়টি বিবেচনা করছে। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য জাতিসংঘের শীর্ষ সম্মেলনের চূড়ান্ত চুক্তিতে বিষয়টি রাখা নিয়ে আলোচনা চলছে। গতকাল মঙ্গলবার এসংক্রান্
জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী না হয়েও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো। তাই উন্নত বিশ্বের কার্বন নিঃসরণের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে অনুদান নয় ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে দুবাইয়ে কপ-২৮ সম্মেলনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে দক্ষিণ এশিয়ার সাংবাদিকেরা।
আইইএ বলেছে, ২০৫০ সালের মধ্যে শূন্য কার্বন নিঃসরণ লক্ষ্য অর্জনের প্রচেষ্টায় এওসি এবং বিপি, শেভরন, এক্সনমবিল, শেল ও টোটাল এনার্জির মতো বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর প্রচেষ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে। ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানি বা এনওসিগুলোর মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল কোম্পানি সৌদি আরামকো, রাশিয়ার রোসেনেফট, চীনের
প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় বিনিয়োগ করলে উন্নয়নশীল দেশগুলোর বিদেশি ঋণ মওকুফ করার ব্যাপারে একটি টাস্কফোর্স গঠন করতে যাচ্ছে বিশ্বের শীর্ষ বহুজাতিক উন্নয়ন ব্যাংকগুলো (এমডিবি)। দুবাইয়ে চলমান জলবায়ুবিষয়ক বৈশ্বিক সম্মেলন কপ-২৮-এর বাকি দিনগুলোতে এই বিনিয়োগের অধীনে দেশের সংখ্যা ও বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ানোর বিষয়ে
প্রায় ২০০ দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে আজ বৃহস্পতিবার দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জলবায়ুবিষয়ক বৈশ্বিক সম্মেলন কপ-২৮। আগামী ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে সম্মেলনটি। কার্বন নিঃসারণের জন্য দায়ী জীবাশ্ম জ্বালানির অন্যতম হচ্ছে তেল। আর বিশ্বে তেল উৎপাদনকারী শীর্ষ ১০টি দেশের একটি সংযুক্ত আরব আমিরাতকে এই সম্মেলন
গত শুক্রবার থেকে লোডশেডিংয়ে কেনিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সব প্রতিষ্ঠান অন্ধকারে। ১২ ঘণ্টা অন্ধকারে ছিল নাইরোবি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। অথচ জ্বালানিকে কেন্দ্র করেই কয়েক সপ্তাহ পর কেনিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রথম আফ্রিকা জলবায়ু সম্মেলন।
সম্মেলনে উপস্থিত সংশ্লিষ্টরা ঝড় ও বন্যার মতো জলবায়ুবিষয়ক বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে খরচ বহন করতে সহায়তার জন্য একটি ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ তহবিল গঠনে সম্মতি দেন। স্থানীয় সময় রোববার (২০ নভেম্বর) কপ-২৭ সম্মেলনের প্রেসিডেন্ট ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ চুক্তির একটি খসড়া রূপরেখা প্রকাশ করেন।
উন্নত দেশগুলো বলেছে গত বছর তারা জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলার আন্তর্জাতিক তহবিলে ৮২ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে। এর মধ্যে একটা বিরাট শুভংকরের ফাঁকি আছে।
এ বছর এখন পর্যন্ত কার্বন ডাইঅক্সাইডের নিঃসরণ হয়েছে প্রায় ৪ হাজার ৬০ কোটি টন। যার মধ্যে কেবল জীবাশ্ম জ্বালানি থেকেই নিঃসৃত হয়েছে ৩ হাজার ৬৭০ কোটি টন। বাকি কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসৃত হয়েছে ভূমিভিত্তিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ফলে। গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল কার্বন প্রজেক্টের
বিশ্বের ৫০ টির বেশি দরিদ্র উন্নয়নশীল দেশ দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। যদি বিশ্বের উন্নত দেশগুলো যথাসময়ে সহায়তা না দেয় তবে এসব দেশ ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে দেউলিয়ায় পরিণত হবে। বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৭ এ দেওয়া এক ভাষণে জাতিসংঘ উন্নয়ন
চলমান জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৭ এ অন্তত ৬ শতাধিক তদবিরকারী সংগঠন জীবাশ্ম জ্বালানির পক্ষে তদবির করেছে। যা কপ-২৬ সম্মেলনের চেয়ে ২৫ শতাংশেরও বেশি। সব মিলিয়ে এবারের কপ-২৭ সম্মেলনে ৬৩৬টি সংগঠন বিভিন্ন তেল ও গ্যাস কোম্পানির হয়ে তদবির করতে
কয়লার ব্যবহার পর্যায়ক্রমে কমানো, বন উজাড় রোধ, বন্যা, তাপপ্রবাহ এবং খরা দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত উন্নয়নশীল দেশগুলোকে অগ্রিম প্রতিকারমূলক অর্থ প্রদান এবং পরের বছর কার্বন নির্গমন হ্রাসের উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নিয়ে ফিরে আসার সম্মিলিত প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল গ্লাসগো সম্মেলনে।